ইন্দোনেশিয়ায় দুই অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৫ | ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ | 571 বার

ইন্দোনেশিয়ায় দুই অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অনলাইন ডেস্কঃ সকল আন্তর্জাতিক নিন্দা আর সমালোচনা অগ্রাহ্য করে মাদক চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত আট অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে সাতজনই বিদেশি। এদিকে মঙ্গলবার দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে জাকার্তা থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার নুসা কাম্বানগান দ্বীপের এক কারাগারে ওই আট ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পাসির পুতিহ কারাগারের ফটকের বাইরে গুলি করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে।

এদের মধ্যে দুজন অস্ট্রেলিয়ার, ব্রাজিল, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনের একজন করে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের চারজন নাগরিক রয়েছেন।বাকি একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তবে শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছেন ফিলিপাইনের এক নারী মাদক চোরাচালানী। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যুদণ্ড রোধ করা হয়। ওই সাত বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে অনুরোধ জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো তাদের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া তার রাষ্ট্রদূতকে জাকার্তা থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়া ইন্দোনেশিয়া থেকে তাদের কোনো রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করল।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট তার দেশের দুই নাগরিক চান ও সুকুমারানের মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অপ্রযোজনীয়’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার তিনি এক বিবৃতিতে আরো বলেছেন,‘ আমরা ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে থাকি। কিন্তু যা ঘটেছে আমরা তার নিন্দা জানাই এবং এরপর আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক গতিতে চলবে না।’ ওই দুই অস্ট্রেলীয় ২০০৬ সালে মাদক চোরাচালান মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাদের মৃত্যুদণ্ড রোধ করার জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিলেন টনি অ্যাবোট।

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com