চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৪ | ৬:৫৪ অপরাহ্ণ | 487 বার

চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

t20২০১১ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ছোট্ট পরিসরের হলেও টি-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা দিয়ে তার প্রতিশোধ নিল এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
গতকাল মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৩০ রান করে ভারত। জবাবে জয়ের জন্য ১৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা কুমার সাঙ্গাকারা ব্যাটিং তা-বে ১৭.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৪ রান করে সহজ জয় তুলে নেয়।
দ্বিতীয় ওভারেই অজিঙ্কা রাহানের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত শর্মার সঙ্গে কোহলির ৬০ রানের পার্টনারশিপ শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় ভারত। নিজ সংগ্রহ যখন ১১ তখন মিড উইকেটে অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গার হাতে জীবন পান কোহলি। এরপর তাকে থামানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় লঙ্কানদের সামনে। রোহিতকে রান-আউটের সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেন মালিঙ্গা। তার সংগ্রহও তখন ছিলো ১১ রান।
তবে রোহিতকে সচিত্রা সেনানায়েকের ক্যাচে পরিণত করে ৯ ওভার স্থায়ী পার্টনারশীপ ভাঙ্গেন রঙ্গনা হেরাথ। এরপরই আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। যুবরাজের সঙ্গে ৭.৪ ওভারে ৫৫ রানের পার্টনারশীপ গড়েন তিনি। ব্যাটে বলে সংযোগে যুবরাজের ব্যর্থতায় কোহলির কাজ অনেক কঠিন করে তুলেছিল। ৪৬ বলের পার্টনারশিপে যুবরাজের অবদান ২১ বলে ১১ রান।
শেষ দিকে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে টানা ইয়র্কার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজটা অনেক কঠিন করে তুলেছিলেন মালিঙ্গা ও নুয়ান কুলাসেকারা। যে কারণে কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিধ্বংসি ব্যাটসম্যানরাও তখন সহজে রান পাননি। নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৫৮ বলে ৭৭ রান করেন কোহলি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪ বিশাল ছয়ের মার। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে হ্যারাথ ২৩, ম্যাথুস ২৫ ও কুলাসেকারা ২৯ রানে শিকার করেন ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানে মোহিত শর্মার প্রথম বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে জাদেজার হাতে ধরা পড়েন কৌশল পেরেরা। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৪১ রানে অশ্বিনের বলে কোহলির ক্যাচে পরিণত হন দিলশান। পেরেরা ৫ ও দিলশান ১৮ রান করেন। ৯.৫ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে ফিরেন জয়াবর্ধনে। ২৪ রান করে রায়নার বলে তিনি অশ্বিনকে ক্যাচ দেন। ১২.৩ ওভারে থিমান্নে মিশ্রার বলে ধোনির ক্যাচে পরিণত হলে শ্রীলঙ্কার চতুর্থ উইকেটের পতন হয় দলীয় ৭৮ রানে। থিমান্নে করেন ১১ বলে ৭ রান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লঙ্কানদের। জয়ের জন্য বাকি কাজ সারেন কুমার সাঙ্গাকারা। নিজ ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেন জ্বলে ওঠেন তিনি। তার বিধ্বংসি ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা পায় বড় জয়। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও। অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় সাঙ্গাকারা ৩৫ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে অপরাজিত ৫২ রান করলে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারে মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে। অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান পেরেরা করেন ১৪ বলে ৩ ছয়ের মারে ২৩ রান। ভারতের শর্মা ১৮, রায়না ২৪, অশ্বিন ২৯ ও মিশ্রা ৩২ রানে পান ১টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কুমারর সাঙ্গাকারা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০ 

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com