আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আল্পসের গায়ে ভেঙে পড়া জার্মান উইংস বিমানের কো-পাইলট। বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে এমনই দাবি করছেন পাবলিক প্রসিকিউটর রবিন। দুর্ঘটনা নয়, সন্ত্রাসবাদী হামলা নয়, সহ-পাইলটের মানসিক অস্থিরতাই কাল ডেকে এনেছিল বিমানের ১৫০ জন যাত্রীর।
২৮ বছরের অ্যানড্রিজ লুবিটজ। সদ্য গত বছরেই জার্মানউইংসে যোগ দিয়েছিলেন। ফ্লাইট ৯৫২৫-এ সহকারী বিমান চালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ব্ল্যাকবক্স থেকে দুই পাইলটের যে কথপোকথন পাওয়া গিয়েছে, তা শুরুর দিকে একেবারেই স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন রবিন। কিন্তু স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ উড়ে যাওয়ার পথে মাঝে একবার টয়লেট যাওয়ার জন্য উঠেছিলেন প্রধান পাইলট। তখনই বিপত্তির সূত্রপাত।
টয়লেটের দরজা দ্রুত বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন লুবিটজ। বন্ধ করে দেন ককপিটে ঢোকার দরজাও। তারপই প্লেনটিকে ইচ্ছেমতো উচ্চতা পরিবর্তন করতে দেন। কনট্রোল রুম থেকে বারবার লুবিটজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, কোনও উত্তর দেননি তিনি। টয়লেটে আটকে পড়া বিমানের পাইলট বারবার দরজা ধাক্কালেও কোনও সাড়াশব্দ করেননি লুবিটজ।
একেবারে শেষ সময়েই নিজেদের পরিণতি বুঝতে পেরেছিলেন বিমানের যাত্রীরা। একদম শেষ মুহূর্তেই যাত্রীদের আতঙ্কিত চিত্কার ব্ল্যাকবক্সের রেকর্ডারে পাওয়া গিয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার বেগে ফ্রেঞ্চ আল্পসের গায়ে আছড়ে পড়ে বিমানটি। তত্ক্ষণাত্ মৃত্যু হয় দেড়শো যাত্রীর। তবে কো-পাইলট অ্যানড্রিজ লুবিটজ কেন এরকম একটা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তাও বলতে পারেননি তার সহকর্মীরা।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com