বাংলাদেশী নারী শ্রমিক চায় সউদীরা

বুধবার, ২৫ মার্চ ২০১৫ | ২:৫৭ অপরাহ্ণ | 1078 বার

বাংলাদেশী নারী শ্রমিক চায় সউদীরা
দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর সউদী অরবের ওহাবী সরকার তারা বাংলাদেশ হতে আবার শ্রমিক নিতে চায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সত্য যে, সউদী ওহাবীরা চায় বাংলাদেশের মেয়ে!
বাস্তবতা বিবেচনায় খবর বিশ্লেষণে সত্য প্রকাশ হয়- ওহাবী সউদী বর্বরদের কোনো বিশ্বাস নেই!
রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছে:
১. সউদী আরবে ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল এমনকি মিশরীয় মেয়েরা কাজ করতে আসতো। তাদের প্রতি সম্ভ্রম হয়রানির কারণে বর্তমানে প্রায় সবগুলো দেশই গৃহকাজে নারীদের প্রেরণ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ওহাবীরা বাংলাদেশমুখী।
গণতন্ত্রের মন্ত্রী-এমপিরা আমাদের জাতীয় সম্মানকে কোনো পরওয়া না করেই গদগদে রাজি হয় শুধুই নারী পাঠাতে! কিন্তু রহস্য কোথায়?
২. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। বাংলাদেশের অন্য নারীর প্রতি সমমর্মিতা প্রদর্শন আশা করি। গৃহপরিচারিকার লোভনীয় চাকরির আড়ালে সউদী ওহাবী পান্ডাদের হাতে বাংলাদেশী যুবতী নারীদের তুলে দেয়াতে সরকারের উপর মহল নিজেদের পকেট কত বেশি ভারী করছে, তা জানার আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন? একজন নারী হয়ে কিভাবে আপনি আপনার স্ব-জাতি অন্য এক নারীকে সউদী ওহাবী যালিমদের হাতে নির্যাতিতা হবার পাঁয়তারা করছে?
৩. খবরে প্রকাশ, ম্যাক্সিমাম গৃহপরিচারিকা সম্ভ্রমহরণের শিকার হয় সউদীতে।
৪. খবরে প্রকাশ, সউদী ওহাবীরা ব্যক্তিগতভাবে কাজের লোক বা খাদ্দামাদের প্রতি নির্দয়। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে আমরা কি আমাদের বোনদের একটি হাইলি একোমডেট কারাগারে পাঠাবো; যেখানে সে নিপীড়িত হবে?
৫. একজন মহিলা কাজ করতে সউদী আরব যাবে, কিন্তু কেন? তার বাবা, ভাই, সন্তান, নাতি, স্বামী তারা কি তার ভরণ-পোষণ করে না? এ বিষয় ব্যবস্থা করা কি সরকারের দায়িত্ব নয়। বিবাহ-এর শর্তই থাকে ভদ্রোচিত খোর-পোষ দিতে হবে! স্বামী তার স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য।
গণতন্ত্রের বাহকরা এ অধিকার আদায় করে দাও। না পারলে হারাম গণতন্ত্র থেকে তওবা করে ফিরে আসো।
৬. খবরে প্রকাশ, সউদী আরব প্রবাসী মহিলারা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে আসে বাংলাদেশ কনসুলেটে। কর্তাব্যক্তিরাও বাংলাদেশী একটা কাজের মহিলা হাতছাড়া করতে চায় না। তাদেরকে রাখা হয় কনসুলেটের বিভিন্ন কর্মচারীর বাসায়। মোটামুটি নিরাপদ একটা আবাস। এটা তাদেরই কপালে জোটে যারা পালিয়ে আসতে পারে।
৭. খবরে প্রকাশ: মুনিব অত্যাচার করতো। সারাদিন ঘরে বন্দি। কারোর সাথে যোগাযোগ করতে পারতো না। ওদের যে খাবারগুলো দিতো সেগুলো খেতে পারতো না। ডা. পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বললো যে, যে রোগ বাসা বেঁধেছে সেটা একটা সময় পর্যন্ত ভালো থাকবে চিকিৎসা পেয়ে। কিন্তু জের টানতে হবে সারাজীবন। উনি সম্ভ্রম হয়রানির শিকার। একবার না অনেকবার সম্ভ্রমহরণের শিকার হয়েছেন; একজন নয়, অনেকজন দ্বারা। ভবিষ্যতে এটি গনরিয়া নামক ভয়াবহ রোগে পরিণত হবে। আপাতদৃষ্ট লক্ষণ তাই বলে।
৮. খবরে প্রকাশ: একজন পালিয়ে আসা বাংলাদেশী মহিলা। হাতভরা ইনফেকশান। সে বলে যে, সউদী আরবে এক বাড়িতে কাম করতাম। বাড়িতে টাকা পাঠানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই করে চলেছি ৪ বছর ধরে। মাঝখানে একবার মালিক-এর বউ মেরে মাথা ফাটিয়েও দিয়েছিলো। ফিরে যাচ্ছো না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, মানুষ তার স্বামীকে বুঝিয়েছে তোমার বউ আর ভালো নাই। নির্যাতনের শিকার। শরীরে নানাবিধ রোগ বাসা বেঁধেছে। নারী হিসাবে লজ্জা। কি লাভ এত ত্যাগের। কেউ কী এর মূল্য দিবে। দেশে ফিরে গেলে তাকে মানুষ নষ্টা বলে অপবাদ দিবে। এক ঘরে করে রাখবে। আর বেশি কিছু কি?
নিঃসন্দেহে বিষয়গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবস্থা নেয়াও জরুরী।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ:
১. অবশ্যই আমাদের নারীদেরকে সউদী ওহাবী কথিত শেখদের হাতে তুলে দেয়া যাবে না ।
২. মন্ত্রী-মিনিস্টাররা ভাবে- এরা কামের লোক, ম্যাথর-সুইপার, বাবুর্চি, ক্লিনার, ডিশ ওয়াশার ম্যান; এদের থেকে ভালো আর কি আশা করা যায় ।
তাই সউদী ওহাবী কথিত শেখদের হাতে আমাদের নারী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের ব্যাপারে টু শব্দ করে না। সউদী আরবে আমাদের নারী শ্রমিকদের পাঠানোর ব্যাপারে সকলের স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিরোধের কথা বলুন। প্রতিবাদ করুন ।
* আমাদের গরিব নারীরা শ্রমিক হয়ে প্রবাসে পাড়ি দিতে কুন্ঠা, ভয়, জড়তা কিছু পাচ্ছে না। আসল সত্য হচ্ছে- সীমাহীন দারিদ্র্যতাই নারীকে কাজে নামতে বাধ্য করেছে- মাটি তোলা, ইট ভাঙ্গা, গার্মেন্টস কাজ করার পর এখন তারা প্রবাসে যেতে চাইছে- একমাত্র কারণ দারিদ্র্যতা। বিশাল অংশের মানুষ জমি হারিয়েছে, ভূমিহীন হয়ে দিনমজুর-ছুটা শ্রমিকে পরিণত হয়েছে এবং এসব পেশার আয় এমনই যে- একার আয়ে পুরা পরিবার চালানো অসম্ভব। অতএব, অতিশীঘ্রই গণতান্ত্রিক সরকার জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নাও। নতুবা হারাম গণতন্ত্র থেকে তওবা করে পালাও।
* নারীরা ভাবুন। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জন্য যেন চিরস্থায়ী আখিরাত না হারাতে হয়।
* সউদী ওহাবী ঐ নরপশুদের প্রতি ঘৃণা আর আমাদের সরকারের কাছে এর একটি ভালো সমাধান চাই।
ব্যাপারটা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ, পরিকল্পনা নেয়া হোক। ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা সউদী আরবে আর কাজ করতে যেতে চাইছে না। কারণ তারা অত্যাচারিত সউদী বস দ্বারা নির্যাতিত হয়। কয়েক মাস আগে সুমাতি নামের ইন্দোনেশীয় কাজের মেয়েকে তার মহিলা বস শুধু গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছেকা দিয়ে গা পুড়িয়ে দিয়েই নিবৃত থাকেনি। রান্নাঘরের কাঁচি দিয়ে সুমাতির ঠোঁটও কেঁটে দেয়। ওহাবী সউদী বিচারক ওই মহিলা মালিকের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি।
খবরে প্রকাশ: এক ইন্দনেশীয় কাজের মেয়ে সউদী মালিকের বাথরুমে মৃত অবস্থায় ঝুলন্ত পাওয়া গেছে। এই রকম হাজার ঘটনা ঘটছে।
আমরা চাই, বাঙালি মেয়েদেরকে এরূপ পরিণতি ভোগ করতে যেন না হয়।
খবরে প্রকাশ: শ্রীলঙ্কার এক মহিলা সউদী আরবে এক পরিবারে পরিচারিকা হিসেবে ছিলো, পালিয়ে আসার পরে শরীর থেকে ২৪টা পেরেক বের করেছে ডাক্তার। এড়ড়মষব এ অৎধনং ঃড়ৎঃঁৎব যড়ঁংবসধরফং লিখে ওয়েব সার্চ দিলে হাজারো রিপোর্ট চলে আসবে ছঁবৎু’র জন্য ইমেজ সার্চও দিয়ে দেখতে পারেন।
সউদী আরবের গৃহকর্ত্রীরাই অনেকক্ষেত্রে এসব অত্যাচার করে থাকে। এরপরও বাংলাদেশের নারীদের সেখানে পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না।
গরিব; তাই বলে আমাদের বোনদেরকে আমারা বিপদগামী হতে দিতে পারি না। সরকারেকে অতিসত্বর এর সুষ্ঠু সুরাহা করতে হবে। নতুবা হারাম গণতন্ত্র এর ধোঁকা থেকে বের হয়ে সত্য ও সম্মানিত ইসলাম উনার দিকে ঝুঁকতে হবে।
অতএব, সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো সাবধান সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com