বাসভূমি ও বন্ধনহীন প্রমিথিউস ॥ ড. রতন কুন্ডু

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৫ | ৪:২৫ অপরাহ্ণ | 1084 বার

বাসভূমি ও বন্ধনহীন প্রমিথিউস ॥ ড. রতন কুন্ডু

Prometheus-Unbound1_images_thumb_medium680_400prometheus_unb_images_thumb_medium680_400

গ্রীক পৌরনিক কাহিনীকার হোমার এর ওডিসির একটি মানবপ্রেমৗ চরিত্রের নাম প্রমিথিউস্। তিনি টিটান নামক মানব সম্প্রদায়ের বিপ্লবী ছিলেন৷ স্বর্গরাজ্যের রাজা অলিম্পাস সাম্রাজ্যের প্রতিভূ জিউস সহ সমস্ত দেবতারা মানুষকে পদানত করে রেখেছে। শুধু পদানতই নয় তারা টিটানকে সব ধরণের স্বর্গমূখ থেকে বঞ্চিত করেছে। ক্ষুধা, জরা, মৃত্যু ভয়কে মানব সমাজে উজার করে দিয়েছে তাদেরই প্রেরিত দেবী প্যানডোরার মাধ্যমে। আশাকে নিরাশায় পরিণত করেছে। এমনকি মানব সমাজকে আগুন ও আলো থেকে করেছে বঞ্চিত। প্রমিথিউস বিদ্রোহ ঘোষণা করে জিউস এর বিরুদ্ধে। কৌশলে স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে এনে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দেয়। স্বর্গরাজ জিউস এতে ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে প্রমিথিউসকে ককেসাস পর্বতে এক দানব ঈগল এর গুহার সামনে বড় একটি পাথরের সাথে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে। ঈগল রূপী জিউস দিনের বেলায় প্রমিথিউস এর যকৃৎ এর অর্ধেক খেষে ফেলে। ঈগল ঘুমিয়ে গেলে তার ক্ষত বিক্ষত যকৃৎ রাতের বেলায় পূর্ণতা পায়। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় একই প্রক্রিয়ায় প্রমিথিউস ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে। অবশেষে হারকিউলিস নামের এক যোদ্ধা প্রমিথিউসকে শৃংখল মুক্ত করে জিউস এর অত্যাচার থেকে মুক্ত করে। এখানে প্রতিকী অর্থে প্রমিথিউস একটি আলোক বর্তিকার নাম। যিনি পৃথিবীর মানুষের অন্ধকার জীবনে আলোকরূপী জ্ঞানের দ্যুতি ছড়িয়ে দেন। মানবতার আর জ্ঞানের বিপ্লবী প্রমিথিউস।

IMAG2961

IMAG2985

গত ৪ঠা আগষ্ট মঙ্গলবার রকডেলের বনফুল রেষ্টুরেন্টে বাসভূমি আয়োজন করে এক আলোকিত সন্ধ্যা

সিডনীর এক বোহেমিয়াম খ্যাপা বাউল -আকিদুল এক যুগ ধরে প্রতি বছর অন্তত একটি আলোকিত সন্ধ্যার আয়োজন করে আসছে৷ তার আমন্ত্রণে নিজেকে ঘরে আটকে রাখতে পারিনা। আলোকিত মঞ্চে- আলোকিত মানুষের সান্নিধ্যে আমাকে আলোড়িত করে। বাসভূমি নামের মধ্যে একটি নষ্টালজিয়া আছে। এই দূর প্রবাসে, যাযাবর জীবনে অতীত ফিরে আসেনা, স্মৃতিরা ফিরে আসে। এই মনস্তাত্ত্বিক শূন্যতা পূরণের জন্য মন এমন কিছু খোঁজে যার মধ্যে অতীত খুঁজে পাওয়া যায়, স্বকীয়তা অনুভব করা যায়। সিডনীতে যখন প্রথম পা রাখি তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। ছোটবেলার ইতিহাসে ফিরিঙ্গীদের কাহিনী আবার মনে পড়ে যায়। একটা নষ্টালজিক অনুভূতি নিজেকে আচ্ছন্ন করে। আজ থেকে পনের বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে বাঙ্গালী অভিবাসির সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। সংগত কারণেই সংগঠন প্রিয় বাঙ্গালীদের সংগঠনও ছিল কম, একটি অনিয়মিত মাসিক পত্রিকা “স্বদেশ বার্তাই” ছিল সবেধন নীলমনি। বাঙালী দোকান থেকে মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি কপি নিয়ে বাসায় ফিরতাম। সীমিত পরিসরে স্বদেশী খবরের পাশাপাশি সিডনীতে কয়েকজন লেখকের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হত। বলাবাহুল্য এর মধ্যে হাতে গোনা দু’একজন ব্যতীত সবাই ছিলেন এমেচার লেখক। তারপরও এই পত্রিকাটি অনেক লেখকের জন্ম দিয়েছে। এরপর আসে পি.এস. চুন্নুর সম্পাদনায় “সোনার বাংলা” নামে আর একটি পত্রিকা। আকিদুল ইসলাম সেই পত্রিকায় নিবন্ধ লিখতেন৷ দিন গড়িয়ে মাস, মাস গড়িয়ে বছর৷ এখন নিয়মিত প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা ছয়টি। বিশ্বয়ানের সুবাতাস বাঙ্গালীদেরও অনুপ্রাণিত করে। আকিদুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষায় প্রথম অনলাইন ম্যাগাজিন ”বাসভূমি” আত্মপ্রকাশ করে। বাসভূমির আঙ্গিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রকাশিত নিবন্ধগুলো বাঙালী সমাজকে আকৃষ্ট করে। আকিদুলের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে বাসভূমি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

IMAG2831IMAG2857

গত ১২ জুলাই রবিবার রকডেলের বনফুল রেষ্টুরেন্টে  বিদেশবাংলা ২৪ ডট কম আয়োজন করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

 

 

রপর অনেকগুলো অনলাইন ম্যাগাজিন আত্মপ্রকাশ করে। এরমধ্যে উলেখ্যযোগ্য আনিসুল হক এর বাংলা-সিডনী ডটকম, আবদুল মতিন এর সিডনীবাসী বাংলা ডট কম, ক্রমে ক্রমে জাকির হোসেন এর কালের কন্ঠ, সোনার বাংলা, বাংলা বার্তা, দেশ বিদেশ, সাদা কালো, সুপ্রভাত সিডনী, মুক্ত মঞ্চ সহ আরো ও কয়েকটি প্রত্রিকা তাদের অনলাইন ভার্সন বের করে। অতি সম্প্রতি মোহাম্মেদ আবদুন মতিন এর সম্পাদনায় সিডনীতে প্রথম ২৪ বাংলা পোর্টাল -বিদেশবাংলা ২৪ ডট কম আত্মপ্রকাশ করে। প্রায় একই সময় আবুল কালাম আজাদ এর নিউজ পোর্টাল- নবধারা নিউজ ডটনেট এই কাতারে সামিল হয়। এবছর সদ্য প্রতিষ্ঠিত রকডেল বনফুল রেষ্টুরেন্ট আ্যান্ড ফাংশন সেন্টারে বিদেশ বাংলা ২৪ ডট কম এক বিশাল ইফতার মাহফিল ও নবধারা নিউজ ডট নেট লাকেম্বাতে বড় ঈদ পূর্ণমিলনী এর আয়োজন করে। বিদেশ বাংলা ২৪ ডট কম এর প্রথম বড় ইফতার মাহফিল ও নবধারা নিউজ ডট নেট এর প্রথম বড় ঈদ পূর্ণমিলনী এর আয়োজন করে। অস্ট্রেলিয়াতে কোন পত্রিকার পক্ষ থেকে এইটা প্রথম বড় আকারের অনুষ্ঠান করা হয়। এ দু’টি অনুষ্ঠানেই দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, টিভি, অনলাইন পোর্টাল, পত্রিকার সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।

সিডনীতে প্রায় চব্বিশটির মত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে যারা অতীতে অনেক মননশীল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই বৈষয়িক বৃত্তির কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। যারা এখনো নিয়মিত সাংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছে তাদেও মধ্যে সিরাজুল সালেকীন এর “প্রতীতি” অন্যতম। এর পরই আসে বাংলাদেশ সোসাইটি পূজা ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশ পূজা এসোসিয়েসন, ক্যামবেল টাউন বাংলা স্কুল, বাংলা একাডেমী, রংধনু, একুশে একাডেমী সহ আরও কয়েকটি সংগঠন। তবে বাসভূমি একযুগ ধরে নিয়মিত‚ অন্ততঃ বছরে একটি পরিশীলিত, সুগ্রন্থিত ও মননশীল সংস্কৃতি সন্ধ্যার আয়োজন করে আসছে। বাসভূমির পরিধি সিডনী অতিক্রম করে স্বদেশ ও বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়। বাসভূমির কর্মপরিধি, নাটক , টিভি সিরিয়াল পেরিয়ে এখন বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠিত টিভি চ্যানেলে আর.টি.ভি এর সাথে “আর-ট্রাভেলস” নামে একটি মনোজ্ঞ টিভি শো প্রয়োজনা করছে। একটি সুন্দরের স্বপ্ন আয়োজনে এই দ্বীপমালা আলোকিত সন্ধ্যায় নিজেকে আবিষ্কার করে বুক ভরে উঠছে। হতে পারে এমনি ভাবে, প্রতিটি সন্ধ্যা একটি মননশীল, সৃষ্টি সুখের আলোকিত সন্ধ্যা। অনেক অনেক ধন্যবাদ বাসভূমিকে। আমার লেখায় আমি রবি ঠাকুরের একটি লেখা বারবার ব্যবহার করি। শুধুমাত্র ব্যবহার নয় আমি তা বুকে লালন করি ও অন্তরে ধারণ করি। “পৃথিবীতে যা ঘটে তা সত্যি নয়, সেই সত্যি তা যা করিবে তুমি কবি তব মনভূমি, রামের জন্মভূমি, অযোধ্যার চেয়েও সত্যি জেনো।”

সংখ্যার বিচারে বাংলা অভিধানে -একক, দকক, শতক, সহস্র, অযুত, লক্ষ, নিযুত, কোটির উপরে আর কোন একক শব্দ নেই। প্রতি মুহূর্তে এ পৃথিবীতে কোটি কোটি ঘটনা ঘটছে আবার প্রতি মুহূর্তে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে কিছু ঘটনা কাগজে কলমে কিংবা অন্যভাবে মূর্ত হয়ে দাগ রেখে যায়। সেই সৄস্টিটিই হয় কালজয়ী। রামের জন্মের সহশ্র বছর আগে কবি বাল্মীকি “রামায়াণ” রচনা করেছিলেন। আমরা জানিনা, বাস্তবে রাম-সীতা-লক্ষণ এই চরিত্রগুলো ছিল কি ছিলনা! তবে রামায়ণের এই চরিত্রগুলো আমাদের ভীষণ ভাবে আলোড়িত করে, আপ্লুত করে, একাত্ম করে৷ কখনো হাসায়, কখনো কাদায়, আবার কখনোবা উদ্বেলিত করে। যখন কবির লেখাতে আবেগ ঝরে পরে তখন কবিতা জীবন্ত হয়। আমাদের শৈশব, কৈশোর, যৌবন- বাড়ির উঠোন, গাঁয়ের নদী, স্কুল আর ফসলের মাঠে নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাই। পাবলো পিকাসো বলেছেন একজন শিল্পী সূর্যকে হলদে রং দিয়ে চিত্রপটে মূর্ত করেন। কিন্তু কোন শিল্পী আছেন যিনি ঐ হলদে রং এর গোলাকর রং দাগকে, সূর্যতে রূপান্তর করেন। এখানেই শিল্পীর সার্থকতা। একটা আত্মিক শক্তি‚ নিরেট রং তুলির মাধ্যমে বিমূর্তকে মূর্ত করে তোলে। এ যেন মগজের কুঠুরীতে ধুপ ছায়া খেলা- সামান্যকে অসামান্য এবং অসুন্দরকে সুন্দর করে তোলে। শিল্পী বিমূর্ত ভাবকে মূর্ত করে তোলেন। যেমন চাঁদের সৌন্দর্যের কাব্যিক বর্ণনা একজন অন্ধকেও আপ্লুত করতে পারে। নৈঃশব্দ কখনো কখনো প্রচন্ড সশব্দে পরিণত হয়ে পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। জার্মান নাট্যকার বেল্টড ব্রেশট যথার্থই বলেছেন- নিজের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসো, নিজেকে দেখো, বিশ্লেষণ করো তখনই আত্ম উপলদ্ধি হবে। পক্ষান্তরে রুশ নাট্যকার- স্তানিস্লাভস্কি মানুষের মনের সুকুমার বৃত্তি নিয়ে খেলা করেছেন। তাইতো আমরাও ঐ সৃষ্টির মাঝে একাত্ম হয়ে যাই। উদাহরণ স্বরূপ, “বজরাঙ্গী ভাইজান” ছায়াছবির শেষ দৃশ্যে একটি বাচ্চা মেয়ের অন্তরের কান্না সব দর্শককে আপ্লুত করে, চোখে পানির নছর বইয়ে দেয়।

11778100_1064611056889909_136451921_n

nb_for_bb_full_images_thumb_medium680_400

গত ২৬ জুলাই ল্যাকেম্বা রিমেম্বারেন্স হলে  নবধারা নিউজ ডট নেটের ঈদোত্তর পুনর্মিলনী

 

 

গত ৪ঠা আগষ্ট মঙ্গলবার রকডেলের বনফুল রেষ্টুরেন্টে বাসভূমি আয়োজন করে এক আলোকিত সন্ধ্যা। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল আরটিভির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সৈদয় আশিক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আশিক রহমানের সহধর্মিনী, ইউ.এন.ডি.পি কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এনটিভির সংবাদ পাঠিকা তানজিনা শারমীন, জনাব সিরাজুল হক, মনিরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন সিডনীর চেনামুখ -গামা আব্দুল কাদির। এবার অনুষ্ঠাটি সাজানো হয়েছিল সিডনীর বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ত্ব সহ বাঙালী সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে। আর আয়োজনে ছিল কলেবরে বেড়ে ওঠা বাসভূমির একঝাক প্রত্যয়ী তরুণ তরুণী। সাংবাদিকদের মধ্যে বিশেষ আসন অলংকৃত করেন বিদেশ বাংলা ২৪ ডট কম নিউজ পোর্টাল এর প্রাণপুরুষ -মোহাম্মেদ আব্দুল মতিন, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বিদেশ বাংলা ২৪ ডট কম এর নির্বাহী সম্পাদ্ক নাইম আবদুল্লাহ, নবধারা ডট নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খোকন, এস বি এস রেডিও এর আবু রেজা আরেফিন. প্রথম আলো সাংবাদিক হ্যাপি রহমান, ভোরের কাগজের সিডনী প্রতিনিধি কাজী সুলতানা মিমি, এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি- সায়মন সারোয়ার, বেতার বাংলা পরিচালক হারুন রশীদ আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন -আকিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আরটিভির জন্য নির্মিত আর- ট্যাভেলস এর প্রিরিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।

নতুন প্রজন্মের টিভি উপস্থাপিকা শামান্থা ইসলাম ও আকিদ তনয়া- অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা রূপন্তী ইসলামের উপস্থাপনায় আর ট্যাভেলস এর ভিডিও ক্লিপটি ছিল ভীষণ উপভোগ্য। আমি অনুষ্ঠানের বিস্তারিত বর্ণনায় যাবনা৷ উপস্থিত সাংবাদিকরা এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখবেন আমি জানি। আমি বাসভূমি আয়োজিত এই আলোকিত সন্ধ্যার মূল থিম নিয়ে দুটো কথা বলল। এর আগের বছর গুলোতে আলোচিত ছিল যৈবতী কন্যার মন, দূরের বাড়ি কাছের মানুষ, সিডনী টু মুরাদনগর ও পূর্নাঙ্গ টিভি নাটক৷ এ নিয়ে লিখব লিখব করেও লেখা হয়ে ওঠেনি৷ হয়ে ওঠেনি মৄলত্ঃ নিজস্ব অলসতা, ব্যক্তিগত ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার কারণে।
অকিদের প্রতিটি আয়োজনের একটি একটি থীম থাকে। এবারের আয়োজনের থীম ছিল “রাজনৈতিক নেতাদের হাত থেকে মাইক্রোফোন চলে এসেছে মিডিয়ার হাতে” কথাটি অপ্রিয় হলেও এটিই বাস্তব, অন্তত: প্রবাসের মাটিতে। অসুস্থ রাজনীতির স্বঘোষিত প্রবাসী প্রতিনিধিরা যখন মিথ্যা জন্মবার্ষিকী, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ অন্যান্য খাদ্যানুষ্ঠানের আয়োজল করেন আর প্রতিবছর সৌজন্যমূলক খাবারের আগে কয়েক ডজন বক্তার বস্তাপঁচা বক্তব্য পরিবেশন করেন তখন তা অত্যন্ত স্থুল মনে হয়। ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর প্রবাসের এই নেতাদের উচ্চস্বর আর আস্ফালনকে প্রান্তিক প্রায়াস বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। আমার মনে হয় উনি সত্য কথাই বলেছেন। আমরা আশা করবো এই প্রশান্ত পাড়ের বাঙ্গালী সমাজে সবাই বাসভূমি’র মত সৃস্টিশীল ও মননশীল পরিবর্তনে বেশী বেশী মেধা ও সময় ব্যয় করবেন। বেঁচে থাকুক বাঙ্গালী সংস্কৃতি দেশে ও প্রবাসে।

11188477_10153314926234429_4750813765177484941_n

 

 

 

 

ড. রতন কুন্ডু (অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উপন্যাসিক) rlkundu@yahoo.com

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০ 

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com