বাড়িয়ে দিবেন কি সাহায্যের হাত ?

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০১৫ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | 858 বার

বাড়িয়ে দিবেন কি সাহায্যের হাত ?

তিন সন্তান আর স্ত্রী নুরজাহান আক্তারকে নিয়ে মোটামুটি সুখেই জীবন যাপন করছিলেন ঠিকাদার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। প্রায় তিন বছর আগে সেই সুখের জীবনের ছন্দ পতন ঘটে স্ত্রীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়ায়। তার সহায় সম্বল উজাড় করে স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। তিনটি সন্তানকে তাদের ফুফুর বাসায় রেখে যান। প্রান প্রিয় স্ত্রী, তার সন্তানদের মাকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য একজন মানুষের পক্ষে যা করা সম্ভব তা করতে মিজানুর রহমান এ্তটুকু ত্রুটি করেননি। নিজের জমানো অর্থ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সহযোগীতায়ও বিশাল খরচের সঃকুলান দিতে পারেননি। লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণের নীচে পড়ে যান। একটা সময় সবাই যখন সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেয়, চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখেন। নিজের রোজগার বন্ধ, তিন সন্তানের খরচ, স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ, পাওনাদারের তাড়া সব কিছু মিলিয়ে মিজানুর রহমান যেন অথই সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তবুও তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা বন্ধ করেননি। শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন জীবন সঙ্গিনীর ভয়াবহ যন্ত্রণা কমানোর জন্য, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

 দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসার পর যখন বহু কষ্টে যোগানো অর্থে নুরজাহান আক্তারের প্রতি ছয় মাস পর চেক আপ চলছে হটাৎ নতুন করে আবার ধরা পড়লো তার খাদ্যনালীর কানসার যা শরীরের নীচের অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। এমন কঠিন সময়ে এত বড় দুসংবাদ মিজানুর রহমান এর ঈমানের চরম কঠিন পরীক্ষাই যেন আল্লাহ্‌ নিচ্ছেন। জীবনে এত বড় দুর্বিষহ দিন আসবে মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী বা পরিবারের কেউ ভাবতে পারেননি। কাছের মানুষদের সাহায্যের হাত যখন আর আসছেনা নিরুপায় হয়ে সারা দেশের তথা দুনিয়ার হৃদয়বান মানুষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি তার সন্তানদের মাকে বাঁচাতে, সন্তানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কঠিন লড়াইয়ে, জীবন সংগ্রামের এই চরম সময়ে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে।

 এই দুনিয়া থেকে সবাইকে চলে যেতে হবে দু’দিন আগে আর পরে। ধন-সম্পদ কিছুই যাবেনা সঙ্গে নিজের আমল আর সৎ কর্ম ছাড়া। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো সৎ কর্মের অংশ। যা মানুষকে দোজখের আগুণের তাপ থেকে বাঁচাবে। আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন, কি ভাবে সে তা খরচ করছে। গচ্ছিত সম্পদ দোজখের খড়ি হিসেবে সম্পদের মালিকের শাস্তিতে ব্যবহার করা হবে। এই সম্পর্কে কোরান ও হাদিসে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে। সুরা সাবা (৩৯)’ তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার প্রতিদান দিবেন।‘ সুরা বাকারা (২৯২) ‘ শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা যে ধন-সম্পদ ব্যয় করবে তার পুরষ্কার পুরোপুরিভাবে দান করা হবে, তোমাদের প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবেনা’।

 আবু হুরাইরা বর্ণিত, (১) রাসুল(সঃ) বলেন, প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করে। তাদের একজন বলে- ‘ হে আল্লাহ, তোমার পথে খরচকারিকে প্রতিদান দাও, অন্যজন বলে, ‘ কৃপণ কে ক্ষতিগ্রস্ত কর’ (মুসলিম)।

(২) রাসুল(সঃ) বলেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেন- ‘হে আদম সন্তান, আমি রোগাক্রান্ত ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে যাওনি, আমি খাবার চেয়েছিলাম তুমি দাওনি, আমি বিপদগ্রস্থ হয়ে তোমার সাহায্য চেয়েছি তুমি সাহায্য করনি’ বান্দা বলবে- হে আমার রব, আপনি এই বিশ্ব জাহানের মালিক আমি কেমন করে আপনাকে দেখতে যাবো? খাবার দিবো? সাহায্য করবো? আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল, তুমি যদি তার খোঁজ নিতে, দেখতে যেতে তাহলে আমাকে কাছে পেতে, অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তুমি যদি তাকে খাবার দিতে তাহলে আমার কাছ থেকে তা পেতে, অমুক বান্দা বিপদে সাহায্য চেয়েছিল তাকে সাহায্য করলে আমার কাছে প্রতিদান পেতে’।

 ইবন হাতম বর্ণিত, রাসুল (সঃ) বলেন, ‘ তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও আত্মরক্ষা কর’(বুখারী)।  

আল্লাহর ইবাদত করার পাশাপাশি দান-সাদকা দেয়ার তৌফিক হল ধনবানদের জন্য আল্লাহর বড় ও স্থায়ী নিয়ামত ভোগ করার সুযোগ। আল্লাহর সেই নেয়ামতের শোকরিয়ার অংশ হিসেবে দুর্দশাগ্রস্ত এই পরিবার টিকে সাহায্য করতে যদি হৃদয়বান ধনী ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসেন! যদি একবার ভাবেন ১৪ বৎসর বয়সী নবম শ্রেণীতে পড়া নুসরাত, ১২ বৎসর বয়সী সপ্তম শ্রেণীতে পড়া উশরাত, ১০ বৎসর বয়সী পঞ্ছম শ্রেণীতে পড়া নাফুর কথা! একটু যদি ভাবেন যাদের মা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, বাবা তাদের মায়ের পাশে থাকতে গিয়ে তারা মা- বাবাকে ছেড়ে ফুফুর কাছে আছে। এই দূরমূল্যর  বাজারে ফুফুই বা কতদিন এদের দায়িত্ব নিতে পারবে যেখানে নিজের সন্তান, সংসার আছে?

 কার জীবনে কখন কোন দুর্যোগ নেমে আসে কেউ জানেনা, এরা কি কখনও ভেবেছিল এমন ভয়াল দুর্যোগের কথা? কারো কাছে হাত পাততে হবে এটা কতটা কষ্টের এই দুর্বিষহ কষ্ট সেই বুঝবে যে এই সময়ের ভিতর  দিয়ে যায়।

 এই পরিবারটির জন্য যদি কারো এতটুকু দয়া হয় তবে সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা থাকলো –

Mohammad Mizanur Rahman     অথবা               Jannatul Ferdous

A/C No: 201.200.101425,                     BSB: 012325, A/C No: 283787092

Dhaka Bank                                 ANZ Bank, Australia

Dhaka, Bangladesh                           Mobile No: 0433075669

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০ 

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com