নাইম আবদুল্লাহঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ছেলে কারার মাহামুদুল হাসান (৩৩)। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিডনির মন্টেরীতে অবস্থিত ক্যালভারী হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহার গুনছেন তিনি। সেন্টজর্জ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতির কারণে ডাক্তাররা তাঁকে শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য গত সপ্তাহে ক্যালভারী হাসপাতালের প্যালেটিভ বিভাগে স্থানান্তর করেছেন। তাঁর পাশে রয়েছেন জনম দু:খিনী মা। যে কোন মুহূর্তে এ পৃথিবী ছেড়ে সৃস্টিকর্তার নিকট চলে যেতে পারেন মাহমুদুল। এমনটিই জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ।
প্রায় তিন বছর আগে তার শরীরে প্রথম ক্যান্সার ধরা পরার পর চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলে তিনি চাকুরীসহ স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন। পরবর্তীতে আবার একই রোগে অবস্থার অবনতি হলে গত মাসকয়েক আগে চিকিৎসকরা তার আশা ছেড়ে দেন। এই খবর পেয়ে তার মা দেশ থেকে ছুটে আসেন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাহেদ তার দেখাশোনা করছেন। তিনি ক্লোন কান্সারে ভুগছেন বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন আগে তার মস্তিস্কের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়ায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। সিডনি থেকে প্রকাশিত নবধারা নিউজ ডট নেট অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খোকন তার সাথে হাসপাতালে দেখা করতে গেলে মাহমুদুল ইশারায় সবার কাছে দোয়া প্রার্থণা করেন। কিন্তু কয়েকদিন আগেও তিনি কথা বলেছিলেন।
মাহমুদুল হাসান প্রায় ৮ বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। পড়া লেখা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হয়ে সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। যাকে নিয়ে ছিল তাঁর সুখের সংসার, বড় আনন্দেই কেটেছিল অস্ট্রেলিয়ার জীবন। সেই প্রিয়তমা স্ত্রী মাহমুদুলের অবস্থার বেগতিক দেখে এ বছরের প্রথম দিকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দূরে চলে যায়। কিন্ত দূরে চলে যেতে পারেননি জন্মদাত্রী মা। এ যেন নাড়ির টান! সুদূর বাংলাদেশ থেকে সন্তানের কাছে ছুটে এসেছেন মা। মৃত-পথযাত্রী সন্তানের সেবা করছেন তিনি।
মাহমুদুলের এ রিপোর্টটি লিখতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিখ্যাত গানের একটি কলি বারবার মনে পড়ে যায়। “তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়? দুখের দাহনে করুন রোদনে তিলে তিলে তার-ই ক্ষয়! তিলে তিলে তার-ই ক্ষয়! স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দূরে চলে যায়!”
এখন চলছে মাহমুদুলের জানাজা ও দেশে কফিন পাঠানোর প্রস্তুতি ও অপেক্ষা। এরজন্য সর্বমোট আট হাজার দুইশত ডলার খরচ হতে পারে বলে ল্যাকাম্বা বড় মসজিদের ফিউনারেল কমিটি জানিয়েছেন। রোগীর আত্মীয়দের পক্ষ থেকে সনির্বদ্ধ অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার কোন স-হৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা যদি কর্জে হাছানা ঋণ হিসেবে এই অর্থ দিতে আগ্রহী হয়, তবে তারা যথাশীঘ্র বাংলাদেশ থেকে তা পরিশোধ করে দিবেন।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ খোকন (সম্পাদক – নবধারা নিউজ ডট নেট) +৬১ ৪২১ ১৩৮ ৪০৪ এবং মোহাম্মেদ আবদুল মতিন (সম্পাদক – বিদেশবাংলা ২৪ ডট কম) +৬১ ৪৩৩ ৩৪৮ ৮০২ এই নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাহমুদুলের ভাই ও বোনের ভিসা হয়েছে। ভাইকে শেষবারের মতো দেখার জন্য তারা বাংলাদেশ থেকে সিডনিতে আসছেন। মাহমুদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া কামনা করছেন।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com