লেখার শিরোনাম দেখে অবাক হবার কিছু নাই। তার চেয়ে বরং চলুন, আমরা গতানুগতিক চিন্তার বাইরে “আউট অব বক্স” চিন্তা করতে অভ্যস্ত হই।
সবাই যখন ইউ.এন .ও কে বাহ্ বাহ্ আর উকিলকে গালি দিতে ব্যস্ত , আমরা সেই স্রোতে গা না ভাসিয়ে , আমাদের সমাজ যে দিন দিন নিম্ন দিকে ধাবিত হচ্ছে তা নিয়ে একটু ভাবি, আপনি/ আমি তার লাগাম টেনে ধরতে চেষ্টা করি, সব কিছুতে একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার উপর গুরুত্বারূপ করি, দেখা যাচ্ছে দেশের কোথাও কোন কাজে একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা হচ্ছে না !
“হাতি কুলার মত দেখতে” অন্ধের এই হস্তী দর্শনের কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়. যে আর্ট সম্পর্কে কোন কিছু জানেনা ,সে ব্যক্তির আর্ট নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তে আসাটাই স্বাভাবিক !
নিউ ইয়র্কের মেসিতে স্থাপিত ব্রোঞ্জ মূর্তি দেখে একজন বাংগালী শিক্ষিত (বি.এ পাশ) ভদ্রলোক বলে ছিলেন ” মেসির প্রতিষ্টাতা তো দেখি কালো ছিল !” উকিলতো এধরণের মানুষেরাই হয় তাই না? আমাদের সময় বলা হতো “যার নাই কোন গতি , সে করে উকালতি !” (সরি, কটাক্ষ করতে নয়,এমনিই প্রবাদটা বললাম )।
যেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই ছবিটি দেখে বললেন, ক্লাশ ফাইভের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এই অফিসার সুন্দর একটি কাজ করেছেন।এটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এই অফিসারটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ছবি দেখে বরিশাল আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক এই চাপাবাজ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাহেবের হৃদকম্পন বেড়ে গিয়েছিল।ইস কত মায়া,কত প্রেম,কত ভালবাসা,কতবড় আওয়ামীলিগার!
একেই বলে,” মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি বা দায়ের চেয়ে আছাড় লম্বা বা লাউয়ের চেয়ে বিচি বড় বা সূর্যের চেয়ে বালু গরম। ” ঘটনার পর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওবায়দুল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে স্থায়ী বহিস্কারের।
আবার,এই উকিল তেল মারতে পারেন কিংবা ভুলেও এমনটি করতে পারে কিন্তু সংবিধানের রক্ষক বিচারক যদি ,আওয়ামীলীগের নেতা মামলা করেছেন বলে একজন সহকারী সচিব পর্যায়ের মানুষকে হাতে হাত কড়া পড়াতে দ্বিধা করেননি তাহলে বিচারের স্যান্ডার্ড মিনিমানের কত নিচে গিয়ে ঠেকেছে তা বুঝতে কি কেউ কাউকে আংগুল দিয়ে দখিয়ে দিতে হবে !
যেখানে একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি, অপহরণ , চাঁদাবাজি , রেপের মত মারাত্মক মামলা করা যায়না বিভাগীয় পারমিশন ছাড়া সেখানে সাধারণ একটা আর্টকে আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানোর জন্য করা মামলা কিভাবে কোর্ট হাতে নিল বিভাগীয় পারমিশন ছাড়া! কোন আইনে হাতে নিলেন ?? তা দেখে আমাদের কি অবাক হয়ে যাওয়ার কথা না !
আওয়ামীলীগের সাধারণ একজন লিডার যে ৫ বছর আগেও আওয়ামীলীগ করতো না , তার করা মামলায় যদি জাজ আইনের বাইরে গিয়ে আইনের আরেক ব্যক্তি (ইউ.এন .ও ) কে হাত কড়া পড়িয়ে জেলে দিতে পারেন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় যে , যারা আজীবন আওয়ামীলীগ করে তাদের করা মিথ্যা মামলায় কত শত মানুষ যে নির্যাতিত হয়ে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ষ্টে দিনাতিপাত করছে??এক মাত্র আল্লাহই জানে!
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট, মালেয়েশিয়া
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com