বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গত ১লা মে অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেলো বছরের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘জিরো ডিগ্রী’। ঐদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিডনির ওয়েস্টফিল্ড গ্রেটার ইউনিয়ন হার্টসভিল সিনেমায় ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।
বেশ কিছুকাল ধরেই দেশের চলচ্চিত্র জগতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলোর কাছে মার খাচ্ছে দেশের সিনেমাগুলো। অন্যদিকে বিতর্কিত পথে মুম্বাইয়ের হিন্দি সিনেমা চলে এসেছে। আর এই হিন্দি সিনেমা-বিষয়ক জটিলতায় সিনেমাজগতে এক রকম অচলাবস্থা নেমে এসেছে। সাংঘর্ষিক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে পরিচালক-অভিনয় শিল্পী আর প্রযোজক-হল মালিকরা। এমন এক নাজুক পরিস্থিতিতে মুক্তি পেলো নির্মাতা অনিমেষ আইচের প্রথম চলচ্চিত্র জিরো ডিগ্রী।
আমাদের দেশে প্রায় সব সিনেমাই হয় অ্যাকশন-রোম্যান্স ঘরানার, যে ঘরানার বাজারি নাম সামাজিক-অ্যাকশন সিনেমা। সেখানে জিরো ডিগ্রীকে ফেলা যেতে পারে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানায়। সিনেমার কেন্দ্রীয় প্রায় সবগুলো চরিত্রই বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে, আর সেই বিকার থেকেই তাদের মধ্যে জন্ম নেয় অপরাধপ্রবণতা।
অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ছবিটি প্লে হাউস প্রোডাকশনস্-এর ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন মাহফুজ আহমেদ। ছবিতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ, জয়া আহসান, দিলরুবা ইয়াসমিন রুহি, ইফতেখার জাইব, মীর রাব্বি, রনন রয়, তারিক আনাম খান, টেলিসামাদ, ইরেশ যাকের, লায়লা হাসান, শিরিন আলম প্রমুখ।
একমাত্র সন্তান অর্ক কে নিয়ে নীরা আর অমিতের সুখের সংসার। অফিসের কাজের জন্য নীরাকে মাঝে মাঝে বিদেশে যেতে হয়। কিন্তু নীরা একবার বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসে না। সে অমিতকে ফোনে জানায়, সে রকস্টার মুশফিককে বিয়ে করে সেখানেই থাকবে। অমিত ব্যাপারটিকে মেনে নিতে পারে না, সে ভেঙে পড়ে। এরই মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ক নিহত হয়। অমিত মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এদিকে গ্রামের প্রভাবশালী মানুষ পাটোয়ারী। সে সুন্দরী মহিলা বিয়ে করে দিন-কয়েক পরে ছেড়ে দেয় বা মেরে ফেলে। এসব সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী তাদের মেয়ে সোনিয়াকে কিছু টাকা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বিভিন্ন যায়গায় প্রতারিত হয়ে সেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে দু’জনেই প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত হয়। এদিকে নীরা ও প্রতারিত হয় মুশফিকের কাছে। এভাবেই এগিয়ে চলে গল্প।
জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা ও জিরো ডিগ্রী ছবির প্রযোজক মাহফুজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে বিশ্বব্যাপী। যেখানে বাঙালী আছে, বাংলা ভাষা আছে, সেখানে যদি আমরা বাংলা ছবিকে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে একদিন আমরাও আমাদের ছবি নিয়ে অহঙ্কার করতে পারবো। গর্ব নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবো। যেমন আজ আমাদের অহংকার ও গর্ব আমাদের ক্রিকেট নিয়ে।
বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ভালো ছবি নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই নব যাত্রায় যদি প্রবাসী বাঙালীদের সাথে না পাই, তাহলে আমাদের বাংলা ছবি দূর পরবাসে কখনোই স্থান করে নিতে পারবে না। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাঙালীরা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রেমিক। আমারা সবচেয়ে বেশী প্রত্যাশা আপনাদের কাছে। বাংলাদেশের দর্শকরা যেভাবে জিরো ডিগ্রী কে সাদরে গ্রহন করেছে, আপনাদের কাছে থেকেও অনুরূপ সম্মান প্রত্যাশা করি।
নাইম আবদুল্লাহ
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com