সিডনিতে ‘গায়ত্রী সন্ধ্যায় যাপিত জীবনের গল্প’ শীর্ষক এক সাহিত্যসন্ধ্যার আয়োজন করেছে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়া ইনক। এই সাহিত্যসন্ধ্যায় ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, সিডনির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে হার্স্টভিল সিভিক সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণীর সুধীজন উপস্হিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা ছিল। দ্বিতীয় পর্বে প্রভাত ফেরী প্রধান সম্পাদক শ্রাবন্তী কাজী আশরাফী, সেলিনা হোসেনের ইজ্জত উপন্যাসের মালেকা চরিত্রের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃতি করেন। উক্ত অনুষ্ঠানটির স্পন্সর করেছেন সিডনির জনপ্রিয় বাংলা মাসিক পত্রিকা প্রভাত ফেরী।
সেলিনা হোসেন ও তাঁর স্বামী আনোয়ার হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে দম্পতিকে ক্রেষ্ট প্রদান করে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি স্বপন পাল, সহ সভাপতি নোমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক জন্মে জয় রায় ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নেহাল বারী এবং অন্যান্য সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন উপস্থিত পাঠকদের সঙ্গে তাঁর শিক্ষা, কর্মজীবন, সাহিত্য ও অভিজ্ঞতা নিয়ে পাঠকদের সাথে শেয়ার করেছেন। পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তিনি দিয়েছেন।উপস্হাপনা ও প্রশ্ন পর্ব পরিচালনা করেন ড. শাখায়াৎ নয়ন।
সেলিনা হোসেন দর্শকদের বলেন, সততার সহিত কাজ করায় কখনো কোন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়নি বলে সাহিত্যের জায়গাটা তৈরী করে নিতে পেরেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মকে সাহিত্যের রসে আলোকিত করতে হবে। তাঁর কৈশোর বয়সের সময়কালে বালুয়া মাঝি ছোট্রমনিদের অনেক সহযোগীতা করতো বলে তাকে একজন শিক্ষকের সাথে তুলনা করেন।
পথশিশুদের মানুষ হয়ে ফুটে উঠতে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিৎ। সাহিত্যে বৈচিত্রতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। সেলিনা হোসেনের প্রতিটি কাজেই তাঁর স্বামী অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। লারা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য।
সেলিনা হোসেনের স্বামী আনোয়ার হোসেন ৯ নং সেক্টরের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিববাহিনীতে ছিলেন এবং মেয়ে ফারিয়া হোসেন লারা বাংলাদেশের একজন প্রথম নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ছিলেন। লারা ১৯৯৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। এয়ার পারাবতের একটি বিমানে আগুন লেগে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়।
উল্লেখ্য, সেলিনা হোসেন (জন্ম ১৯৪৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। তার উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তার লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার গল্প উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কানাড়ী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। তার মোট উপন্যাসের সংখ্যা ২১টি, গল্প গ্রন্থ ৭টি এবং প্রবন্ধের গ্রন্থ ৪টি।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com