প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় ইমেরিটাস সম্মানে ভূষিত হলেন রফিকুল ইসলাম। দেশটির ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি ৪৯৮তম কাউন্সিল সভায় রফিকুল ইসলামকে ইমেরিটাস উপাধি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দেশটির ম্যাকুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চাকরি শেষে অবসর নিয়েছেন প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। পরে ১৯৭৫ সালে আইন বিভাগে (এলএলবি) প্রথম স্থান লাভ করেন।
তিনি মেলবোর্ন মনাস ইউনিভার্সিটিতে ১৯৭৭-৮৩ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরে ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত সিডনি ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন ও পিএইচডি প্রোগ্রামের পরিচালক এবং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
রফিকুল ইসলামের সাম্প্রতিক একটি গ্রন্থ ‘National Trials of International Crimes in Bangladesh.’ তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ২০০০-২০০৪ সাল ও ২০০৮-২০০৯ পর্যন্ত। টেম্পী পার্কের প্রথম বৈশাখী মেলাটির আয়োজকও ছিলেন তিনি।
রফিকুল ইসলামের জন্ম বগুড়ায় ১৯৫১ সালে। সিডনির গ্লেনোরিতে বসবাস করেন। রফিকুল তিন সন্তানের জনক। বড় মেয়ে তামান্না ইসলাম একজন সিনিয়র আইনজীবী। মেঝ ছেলে আকিফ ইসলাম সিডনি ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে প্রথম হন।
এলএলবি (অনার্স) এলএলএম সম্পন্ন করে বর্তমানে ক্যানবেরা ফেডারেল সরকারের বৈদেশিকবিষয়ক চাকরিরত। ছোট ছেলে নাতিক ইসলাম সিডনি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে অধ্যায়নরত।
উল্লেখ্য, শিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খ্যাতিমান অধ্যাপকদের চাকরির নির্দিষ্ট বয়সসীমা শেষে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। যাদের ইমেরিটাস মর্যাদা দেয়া হয় তারা একজন অধ্যাপকের পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খ্যাতিমান অধ্যাপকদের এ মর্যাদা দেয়ার রীতি আছে।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com