পোলাও, কোরমা, রোস্ট থেকে শুরু করে সেমাই পায়েস জর্দায় গরম মশলার যে উপকরণটি না দিলেই নয় সেটি হলো দারুচিনি। দারুচিনির গুঁড়া কিংবা আস্ত দারুচিনি আমরা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। হাজার বছর ধরে এই মশলাটি বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার হয়ে আসছে। দেখতে ছোট ছোট গাছের ডালের মত হয়। বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum verum.
প্রতি এক টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ায় আছে:
১৯ ক্যালরি
৬.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
০.৩ গ্রাম প্রোটিন
০.১ গ্রাম ফ্যাট
৪.১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার
১.৪ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ
৭৭.৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
০.৬ মিলিগ্রাম আয়রন
২.৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে
এছাড়াও দারুচিনিতে খুব সামান্য পরিমানে ভিটামিন ই, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং কপার পাওয়া যায।
অপূর্ব ঘ্রানের এই দারুচিনির রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। আসুন সেগুলো এবার জেনে নেয়া যাক-
এন্টিঅক্সিডেন্টের উৎস
দারুচিনি এন্টিঅক্সিডেন্টের ভাল উৎস। এটি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরণের অক্সিডেটিভ ড্যামেজের হাত থেকে বাঁচায়। এর ফলে শরীর দ্রুত বুড়িয়ে যায় না। এছাড়াও শরীর থাকে কর্মোদ্যম ও প্রাণোচ্ছল।
হৃদযন্ত্র ভাল রাখে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে দারুচিনি আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাই গ্লিসারাইড, এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এটি হৃদযন্ত্র রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়ায়।
মেছতা সারায়
এক থেকে দেড় গ্রাম দারুচিনি নিয়ে সেটি গরম পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন দুইবার এই পানীয় পান করলে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়া মেছতা আস্তে আস্তে সেরে যায়।
ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে দারুচিনি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুচিনি ভীষণ উপকারী।
ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমায়
শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটতে দেয় না দারুচিনি। প্রতিদিন আধা থেকে এক চামচ পরিমাণ দারুচিনির গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
ইনফেকশন ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে
দারুচিনিতে রয়েছে নানাবিধ এন্টিফাঙ্গাল, এন্টিবায়োটিক, এবং এন্টিভাইরাল উপাদান। দারুচিনির তেল বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশন সারায়।
ব্যথা সারাতে সাহায্য করে
দারুচিনিতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা আমাদের দেহের মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে থাকে। দারুচিনির তেল বা চা পানে বাতের ব্যাথা সহ অন্যান্য ব্যাথায় উপকার পাওয়া যায়।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন অতিরিক্ত দারুচিনি খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক চা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়া খেতে পারেন। অফিসে বা কাজের ফাঁকে একটু দারুচিনি লবঙ্গ মিশিয়ে চা পান করুন, দেখবেন নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ করতে পারছেন।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com