অনলাইনে ব্যক্তিগত ছবি সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | ১:১৪ পূর্বাহ্ণ | 343 বার

অনলাইনে ব্যক্তিগত ছবি সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

মামুন তার দুই বন্ধু মিলে ক্লাসের ফাকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির গান দেখছিল। এটা তাদের কাছে নতুন কিছু নয়, প্রায়ই দেখে। গানের ভিডিওতে পার্ফর্ম করা শিল্পীর করা আরও গান দেখার জন্য তারা সার্চ করে। সার্চ করতে গিয়ে কিছু এমন ভিডিও ক্লিপ পেয়ে যায়, যা ঠিক ঐসময় দেখা উচিৎ নয়। সেগুলোও তারা আগ্রহের সাথে চেক আউট করতে থাকে।

কিন্তু একসময় তারা বুঝতে পারে ওগুলো কোন সিনেমা বা নাটকের ভিডিও নয়, ওগুলো সত্যি এবং ওগুলো ঐ শিল্পী ও তাঁর সঙ্গী নিজেরাই ধারণ করে প্রকাশ করেছে। ওগুলো তাদের শয়নকক্ষে একান্ত মুহূর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার ধারণকৃত অংশ ছিল। এবং সেটা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।

আবার অন্য এক ঘটনায় দেখা যায়, রেজা আর মোনার সম্পর্কে চলছে ব্যাপক টানাপড়েন। রেজা ড্রাগ নেয় মাঝে মাঝে, যা মোনা একদমই মেনে নিতে পারেনা, মোনা রেজাকে চাকরি খুঁজতে বলে, কিন্তু রেজার মধ্যে খুব একটা প্রয়াস দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে মোনার বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ আছে। বাবা-মায়ের ঠিক করা ছেলের সাথে মোনা বাধ্য হয়ে কথা বললেও কিছুদিন পর মোনা যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে লাগল।

চাকরি না পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারলেও রেজার মাদক নেবার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারবেনা সে, কয়েকবার ড্রাগ ছাড়ানোর চেষ্টা করেও সে পারেনি। সে রেজাকে না বলে দেয়। রেজা প্রথমে কান্নাকাটি, অনুনয় বিনয় করে। মোনা তাঁকে নিজের মত বুঝিয়ে চলে যায়। কয়েকদিন অনবরত ফোন করতে থাকে রেজা, চিৎকার চেঁচামেচি করে ফোনে, এবং একসময় হুমকি দিয়ে বসে মোনাকে।

রেজা মোনাকে বলে যে তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সে অনলাইনে প্রকাশ করে দেবে। এবং মোনা তারপরও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলে সে সত্যিই কিছু ছবি ও একটি ভিডিও যা কখন ধারণ করেছে মোনা জানত না, প্রকাশ করল। এবং অবধারিতভাবে তা ভাইরাল হয়ে গেল।

মিথিলার ঘটনাই প্রথম নয়। এর আগেও প্রচুর এমন ঘটনা সেলেব্রিটি ভুবনে এবং সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেছে। হ্যাঁ, প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ছিল। যারা ভিকটিম বা ভুক্তোভুগী হয়েছেন অনেকেই ভেঙ্গে পড়েছেন, কেউ আত্মহত্যা করেছে, কেউ হারিয়ে গেছে, কেউ মিথিলার মত ব্যাতিক্রমীভাবে শক্ত থেকেছেন। নারী হিসেবে নিজের প্রাইভেসি রক্ষা করতে না পারার দায় নিজেই নিয়েছেন মিথিলা, যা প্রশংসনীয়, কেননা এটা আমাদের নিজেদের প্রাইভেসি নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। এই যে গোপনীয়তা ভঙ্গের ঘটনা অহরহ ঘটছেই নিয়মিত, এর আসলে প্রতিকার কি?

‘আমরা কি আসলেই প্রাইভেসি চাই?

সবচেয়ে সময়োচিত প্রশ্ন এখন ‘আমরা কি আসলেই প্রাইভেসি চাই? সবার উত্তর হবে হ্যাঁ, জানা কথা। কিন্তু জীবনের সাথে সাংঘর্ষিকতা এখানেই। কারণ বেশিরভাগ ব্যবহারকারী প্রাইভেসি চাইলেও প্রাইভেসি পেতে কি করণীয় তা মেনে চলতে পারেন না বা চানও না। তবে আমাদের দেশের জনমানসে প্রচলিত ‘প্রাইভেসি’ ধারণাতেই সম্ভবত গলদ আছে।

‘প্রাইভেসি’ শব্দের মানে হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। নিজের জীবনের ঘটনা বা মুহূর্ত অপরিচিত ও ঘনিষ্ঠ নয়, এমন কারো কাছে প্রকাশ করতে না চাওয়ার ভিত্তি হল প্রাইভেসি। শিক্ষিত, পরিপক্ব ও পরিশীলিত মানুষ মাত্রেই নিজ নিজ প্রাইভেসি রক্ষা করতে চাইবে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত ভেদে প্রাইভেসি মানুষের জীবনে অপরিহার্য চাহিদা। যে এর মূল্য বোঝেনা বা চর্চা করেনা, নিঃসন্দেহে সে আর যাই হোক দায়িত্বশীল মানুষ নয়। প্রাইভেসি দুই ধরণের হয় – অলিখিত এবং আরেকটি হল আইনগত ও লিখিত।

ধরুন রাস্তায় কাউকে আপনি দেখলেন, দেখেই কি আপনার যে কাউকে ভাল লাগবে? উত্তর যদি না হয়, তাহলে ঠিকাছে। কিন্তু যদি হ্যাঁ হয়, তাহলেও কি আপনি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেমন বিয়ে, প্রিয় কারও জন্মদিন, মৃত্যু দিন, অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আউটিং, খেতে যাওয়া কিংবা একান্ত বন্ধুর সাথে কাটানো মুহূর্ত ইত্যাদি তথ্য তাঁর সাথে যোগাযোগের সাথে সাথে দিয়ে দেবেন? দেবেন না, তাইতো?

কিন্তু ভেবে দেখুন, সামাজিক যোগাযোগে কিন্তু ঠিক এটাই ঘটছে। বন্ধু তালিকায় হাজারের উপর বন্ধু থাকে এবং নিজেদের ওয়ালে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ব্যক্তিজীবনের রঙ্গিন মুহূর্ত, উদযাপন, ব্যক্তিগত ক্ষোভ, দ্বিধা প্রায় সবধরনের অনুভূতিই প্রকাশ করে। এটাকে বলে অলিখিত ও ব্যক্তিগত প্রাইভেসি লঙ্ঘন। এবং এই লঙ্ঘন ব্যক্তির যার যার নিজেদের দায়।

আইনগতভাবে সিদ্ধ প্রাইভেসি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির সাথে লিখিতভাবে যে প্রাইভেসি চুক্তি হয়ে থাকে তা। প্রত্যেক কোম্পানিরই প্রাইভেসি ও কপিরাইট অংশ থাকবে, এটা বাধ্যতামূলক। এবং এটাও কোন কোন ক্ষেত্রে হানি কারক হতে পারে। যেমন, আপনি যখন কোন অ্যাপ ইন্সটল করেন আপনার ডিভাইসে, তখন ঐ অ্যাপ আপনার ডিভাইসে থাকা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাকসেস চায়, তখন আপনি “Accept’’ বা “I Agree” বাটন চাপ দেন, যদি না চাপ দেন, তাহলে আপনার প্রাইভেসি ঐ অ্যাপ সরবরহাকারী প্রতিষ্ঠান লঙ্ঘন করতে পারবেনা,

স্বাভাবিকভাবেই আপনি অ্যাপটিও ব্যবহার করতে পারবেন না। তার মানে ব্যবহারকারীরা বুঝে কিংবা না বুঝে নিজেই দায় নিয়ে নিজের প্রাইভেসি রক্ষা করছেনা।

প্রাইভেসি রক্ষা – সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ

সেক্ষেত্রে যদি কেউ প্রাইভেসি রক্ষা করতে চায় তাঁকে কি করতে হবে? সে কি প্রযুক্তি ও দরকারি অ্যাপস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে? সেটাতো সবসময় সম্ভব হয়না, তাহলে কি করা যেতে পারে? সে বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছেন।

কেউ যদি আসলেই নিজের প্রাইভেসি রক্ষা করতে না চায় বা কোন সাইবার অপরাধে জড়াতে চায় তাহলে নিচের এসব সতর্কতা কাজে আসবেনা। একমাত্র প্রাইভেসি রক্ষা করার ইচ্ছে থাকলেই এসব ব্যবস্থা নিলে কিছুটা হলেও প্রাইভেসি রক্ষা করা যাবে।

১। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলা যাবেনা, তুললেও এমন ডিভাইসে তুলতে হবে যেখানে কোন অ্যাপস ইন্সটল করা থাকেনা, যেমন ক্যামেরা।

কেননা অ্যাপস ইন্সটল করা যায় এমন ডিভাইসের প্রোটোকল হ্যাকারের পক্ষে ভাঙ্গা সহজ। এইযে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভাইরাল হচ্ছে, হ্যাক হচ্ছে, এই কারণেই মূলত হচ্ছে।

অ্যাপস ইন্সটল করা ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন ও ট্যাবের সমস্যা হল, অ্যাপস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো ঐ ডিভাইসে তোলা ছবি, ফোন নাম্বার, ইমেইল আইডিসহ সেভ করে রাখা যাবতীয় তথ্যের অ্যাকসেস পেয়ে যায়। এবং সেসব তথ্য তারা নিজেদের পণ্য বা সহযোগী কোম্পানির কাছে বাজারজাতকরণের স্বার্থে বিক্রি করে থাকে বা বাজারজাতকরণ গবেষণায় ব্যাবহার করে থাকে।

এবং মূলত অ্যাকসেস পাওয়া তথ্য দিয়ে তারা কি করবে এ জবাবদিহিতা করতে কোন ভোক্তাকে তারা বাধ্য নয়। কারণ আই এগ্রি/অ্যাকসেপ্ট বাটন চাপার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সে অধিকার হারায়। হ্যাকাররা যা বিনা অনুমতিতে করে, কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিক স্বার্থে অনুমতি নিয়ে তাই করে।

অবশ্য অনেক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করতে পারে, এতে তো তাদের ক্ষতি কিছু হচ্ছেনা। এটা ভুল, ক্ষতি হচ্ছে এবং সেটা দীর্ঘমেয়াদী ও আপাত দৃষ্টিতে অদৃশ্য। এইসব সরবরাহকৃত তথ্য নিয়ে কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারী বা ভোক্তাকে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখায়। ফলে ভোক্তা অপ্রয়োজনীয় ভোগ ও ব্যয়ে প্রলুব্ধ হয় । স্বভাবতই অতিমাত্রায় অপ্রয়োজনীয় ভোগ দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তির নৈতিকতা, জীবনাচরণ ও পারিবারিক বন্ধনকে প্রভাবিত করে। চারিদিকে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজের সর্বত্র ধনী-গরীব বৈষম্য, দুর্নীতি, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদিও এর মাধ্যমে সৃষ্ট ও গভীরভাবে প্রভাবিত।

২। সামাজিক যোগাযোগে দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া ক্যামেরা ফোনে ছবি না তোলাই ভাল। সেক্ষেত্রে যুগল ছবি, শিশুর সাথে ছবি বা ভিডিও যত কম তোলা যায় ততই ভাল। গ্রুপ ছবি দেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ। প্রকৃতি বা যে ছবি নিরপেক্ষ ও জনগুরূত্বপূর্ন কোন বক্তব্য দিতে পারে, এরকম ছবি বা ভিডিও নিরাপদ।

৩। এম আই টি’র একটি গবেষক দল ৫ মিলিয়ন লোকের প্রোফাইল ঘেঁটে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগে ব্যবহারকারীরা যে তথ্য দেয়, তার ভিত্তিতে তাদের অপ্রকাশিত তথ্য বা যে তথ্য তাঁরা দিতে ইচ্ছুক নয়, সেসব তথ্যওগবেষক দল বের করতে পেরেছে এবং তা ৭৮% ক্ষেত্রে সঠিক। ব্যবহারকারী গে (তৃতীয় লিঙ্গ) কিনা, কি ধরণের আসবাব ব্যবহার করছে ঘরে,মানসিক রোগী কিনা, হলে কি ধরণের ঔষধ সেবন করছে, জটিল সম্পর্কে আছে কিনা, কোথায় যাচ্ছ।

কোন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করছে, বাস্তব জীবনে বন্ধু সংখ্যা কত, কি খাচ্ছে, অনলাইন ডেটিং করছে কিনা বা কতজনের সাথে করছে, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা ইত্যাদি তথ্য তাঁরা সঠিকভাবে জানতে পেরেছে। অতএব প্রাইভেসি রক্ষা করতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল।

আইডি হ্যাক বা ছবি/তথ্য লিক হলে যা করনীয়

পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না। প্রতিবার সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার শেষে লগ আউট করতে হবে, মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, কেননা, মেইলের খোলা থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ প্রোফাইল হ্যাক করা সহজ হয়।

বিকল্প মেইল আইডি ও ফোন নাম্বার দিয়ে two step verification দিয়ে রাখুন সামাজিক যোগাযোগ প্রোফাইলে।
অচেনা লিংকে ক্লিক করবেন না, কারণ সেগুলো হ্যাকারদের তৈরি। ক্লিক করা মাত্রই ডিভাইসের সব তথ্যের অ্যাকসেস পেয়ে যায় তারা।
ফেসবুক হ্যাকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হলে তখনই নিকটস্থ থানা পুলিশকে জানান এবং জিডি করুন।

পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করুন। ইমেইলে করুন cyberhelp@dmp.gov.bd ঠিকানায়। সরাসরি হেল্প ডেস্কে কথা বলতে পারেন ০১৭৬৯৬৯১৫২২ নম্বরে।
পরিশেষে…

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন প্রাইভেসি বলে আসলে কিছু নেই। রাষ্ট্র ও সরকার চাইলে স্যাটেলাইট ও সার্ভিলেন্স যন্ত্রপাতির মাধ্যমে যেকারও ব্যক্তিগত কক্ষের তথ্যও পেতে পারে। গুগল আর সামাজিক যোগাযোগ যে কাজটি সহজ করেছে। ব্যবহারকারীর নৈতিক সমর্থন আদায় হয়েছে একরকম বলা যায়। কিন্তু মূলত প্রাইভেসি রক্ষার দায় এখনও ব্যবহারকারীরই রয়ে গেছে এসবের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।

জীবনে প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যে কত সুন্দর এবং মূল্যবান একটি বিষয়, সেটা বোঝা যায় সাহিত্যের কাছে গেলে। বিশ্বখ্যাত কথা সাহিত্যিক ভার্জিনিয়া উলফ এর বক্তব্য, প্রাইভেসি হল কারো কাছ থেকে পাওয়া কোন রঙ্গিন কাগজে মোড়া গোপন উপহারের মত, যা খুলে দেখবার নয়, শুধু পাবার তৃপ্তিই যথেষ্ট।

সেটুকুই জীবনকে আলোকিত করবে, নিজের সত্ত্বার দিকে মানুষকে ফেরাবে, তাঁকে প্রেরণা দেবে। তাছাড়া মানুষের কখনও কখনও নিঃসঙ্গতা খুব দরকার। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও দরকার। এটাই প্রত্যেকের আত্ম মর্যাদাবোধ সমুন্নত রাখতে পারে। অতএব, নিজের প্রাইভেসি রক্ষার দায় নিজকে অনুভব করতে হবে আগে, নিয়ন্ত্রন করতে হবে প্রকাশের লাগাম।

তথ্যসূত্রঃ বিবিসি, দ্যা নিউইয়র্কার, নিউইউয়র্ক টাইমস, ডিএমপি নিউজ।

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com