অপরাধ করেও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব

বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭ | ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | 866 বার

অপরাধ করেও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব
ছবি: সংগৃহীত

১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন পল মার্টিন। পরবর্তীতে এখানেই পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৪৩ বছর প্রথমে অস্থায়ী ও পরে স্থায়ীভাবে বসবাসের পর গত বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ওই বছরের জুন মাসে মোট ৩৯টি ট্রাফিক আইন অমান্যের অপরাধে তাঁর নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল করে দেয় দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে (এএটি) চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুনাল তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদানের আদেশ দিয়েছে। গত ১৪ জুলাই এই রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৬ সালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে চারিত্রিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে পল মার্টিনের নাগরিকত্বের আবেদন নামঞ্জুর করে দেয় অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটনের প্রতিনিধিদল। মার্টিনের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সাল থেকে ৩৯টি ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি ছিল গতিসীমার ওপরে এবং লাইসেন্স ছাড়া ও মদ্যপানের পর গাড়ি চালানোর অভিযোগে। তবে এতগুলো অপরাধ করার পরেও নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য রায় দেয় প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এই রায় নিয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রবীণ সদস্য আদ্রিয়া পোজাক বলেন, সাধারণত নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যাপারে ট্রাফিক আইন অপরাধ গুরুতরভাবে বিবেচিত হয় না। তবে সেই অপরাধের সংখ্যা যখন ৩৯টি তখন তা অভিবাসন বিভাগ আমলে নেবেই। আর একই অপরাধ বারবার করার মানে হলো আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া। এ ছাড়া নাগরিকত্বের আবেদনপত্রেও এই অপরাধগুলোর কথা উল্লেখ করেননি মার্টিন, যা আরেকটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

তবে আদ্রিয়া পোজাকের মতে, অভিবাসন বিভাগ যেটা বিবেচনায় নেয়নি তা হলো মার্টিনের অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের স্থায়িত্বকাল। তিনি আরও বলেন, আমি মানছি যে, মার্টিনের একই অপরাধের সংখ্যা অনেকগুলো। তবে এর মানে এই নয় যে, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। কেননা, তাঁর জীবনের অর্ধেক সময় তিনি এই দেশে কাটিয়েছেন। অভিবাসন বিভাগের এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মার্টিন শেষ অপরাধটি করেন এক বছরেরও বেশি সময় আগে। প্রায় ১২ মাস আগে একটি ট্রাফিক অপরাধ ছিল মার্টিনের। তিনি এখন তার ড্রাইভিং রেকর্ডের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।

এ ছাড়া আদ্রিয়া পোজাক অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গেমিং ও রেসিং মন্ত্রী কেভিন গ্রিনের মার্টিনকে নিয়ে করা এক মন্তব্য—‘মার্টিন এ দেশের নাগরিক হতে চাইছে এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া কমিউনিটির অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করা উচিত’—উল্লেখ করে বলেন, মার্টিন গত প্রায় ৪০ বছর ধরে স্ট্রিট জর্জ ক্যানসার কেয়ার সেন্টার ফাউন্ডেশন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এমন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের স্থায়িত্বকালকে বিবেচনায় রেখেই প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল অভিবাসন বিভাগকে নাগরিকত্ব প্রদানের আদেশ দেয়।

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com