অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়প্রার্থী মহসিন নামে এক বাংলাদেশি মসজিদের ভেতর আত্মহত্যা করেছেন। সম্প্রতি রাজধানী ক্যানবেরার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলী লাকেম্বার এক মসজিদে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মহসিন ২০১৩ সালে জলপথে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছান। দেশটিতে পৌঁছানোর পর ‘ব্রিজিং ভিসা’র আওতায় বসবাস শুরু করেন তিনি। এই ভিসার আওতায় কাজ করার অধিকার ছিল না তার।
তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। তবে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার আবেদনটি সমপ্রতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তিনি ফেডারেল সার্কিট কোর্টে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।
মহসিনের বন্ধু মোহাম্মদ আহামেদ জানান, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে ছয় মাস ছিলেন মহসিন। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় মহসিন আর্থিক টানাটানিতেই ভুগেছেন সবচেয়ে বেশি। আমরা তাকে সাহায্য করতে পারিনি। কেবল তাকে আশা দিয়ে যেতাম যে, কোনোদিন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ তার পরিস্থিতি বুঝতে পারবে।
তিনি বলেন, ছয় মাস পর তার বাড়ি ছেড়ে চলে যান মহসিন। বন্ধুর ওপর নির্ভর হয়ে চলায় নিজেকে দোষী মনে করছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশে ফিরতেও ভয় পাচ্ছিলেন মহসিন।
অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী অ্যাকশন জোট (আরএসি) জানায়, দেশটিতে ব্রিজিং ভিসা নিয়ে বসবাসকারী শরণার্থীর সংখ্যা অনেক। কাজ করার অধিকার না থাকায় বন্ধুদের আশ্রয়ে বেঁচে আছেন অনেকে। মোহাম্মদের মৃত্যু কোনো ট্র্যাজেডি নয়। এটা অস্ট্রেলিয়া সরকারের আশ্রয় প্রার্থনা প্রক্রিয়ার সত্যতা প্রকাশ করে।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com