শুভ জন্মদিন রাজ রাজ্জাক

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | 293 বার

শুভ জন্মদিন রাজ রাজ্জাক

আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করা এই লোকটার জন্মদিন আজ, ২৩ শে জানুয়ারি। তিনি নায়করাজ, নায়কদের রাজা; পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আদর্শ, আর পূর্ব প্রজন্মের কাছে গর্বের নাম। শুভ জন্মদিন রাজ রাজ্জাক..

১৯৬৪ সাল। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়েছে দেড়যুগ আগে। এর মধ্যে পূর্ব বাংলার নারায়নগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ওপার বাংলাসহ ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে শুরু হলো হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সেই উত্তাল সময়ে ছেলে বাপ্পা আর স্ত্রী লক্ষীকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকায় পা রাখলেন আবদুর রাজ্জাক নামের বছর বাইশের এক চটপটে যুবক।

কলকাতার ছবিপাড়া খ্যাত টালিগঞ্জে জন্মেছিলেন এই তরুণ, ১৯৪২ সালের এই দিনে। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটা ঘরের পাশেই, টালিগঞ্জের সিনেমাশিল্পে তখন ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সৌমিত্র, বিশ্বজিতদের যুগ, ওদের গাড়িগুলো ধুলো উড়িয়ে ছুটে যায় রাজু’র চোখের সামনে দিয়েই।। অভিনয়ের সাথে সখ্যটা তাই বেশ দ্রুতই গড়ে ওঠে। জড়িত ছিলেন মঞ্চের সাথে। কিন্ত সিনেমায় সুযোগ পাওয়া তো মুখের কথা নয়। শনির দশা হয়ে এর মধ্যে শুরু হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। একটা সময় পরিবার নিয়ে কলকাতায় থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়লো এই যুবকের জন্যে। এক সুহৃদের পরামর্শে পরিবার নিয়ে চলে এলেন পূর্ব বাংলায়।

ঢাকার চলচ্চিত্রশিল্প তখন কেবল হামাগুড়ি দিচ্ছে। যে আত্নীয়ের পরামর্শে এই বাংলায় পা রেখেছিলেন, তিনি ছিলেন প্রথম সবাক চলচ্চিত্র “মুখ ও মুখোশে”র পরিচালক ও অভিনেতা আবদুল জব্বার খানের পরিচিত। তিনি রাজ্জাককে পাঠালেন তাঁর কাছে একটা চিঠি দিয়ে। বলে দিলেন, ঢাকার কমলাপুরে থাকেন আবদুল জব্বার খান। রাজ্জাক স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ঢাকায় এসে কমলাপুরেই প্রথমে বাসা নিলেন। চিঠি নিয়ে যোগাযোগ করার পর জব্বার খান “ইকবাল ফিল্মস লিমিটেড”-এ কাজ করার সুযোগ করে দিলেন রাজুকে। সহকারী পরিচালকের কাজ। কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে তিনি প্রথম কাজ করলেন “উজালা” ছবিতে। শুরু হলো ঢাকায় রাজ্জাকের চলচ্চিত্র জীবন।

সহকারী পরিচালক হলেও অভিনয়ের নেশাটা মাথা থেকে কখনো সরে নি। এর মধ্যে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেন বেশকিছু ছবিতে। এসব ছবির মধ্যে “ডাক বাবু”, “১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন”, “আখেরী স্টেশন” উল্লেখযোগ্য। এক সময় জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দিলেন তিনি। সৌভাগ্যের দরজা খুলে গেলো এখান থেকেই।

বেশ কয়েকটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর ভাগ্যচক্রে হঠাৎ একদিন নায়ক হবার সুযোগ পেয়ে গেলেন তরুণ রাজু। জহির রায়হান তখন “বেহুলা”নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। “বেহুলা” হবেন সুচন্দা। কিন্তু লখীন্দরের চরিত্রে কাউকেই তাঁর পছন্দ হচ্ছে না। ওই সময়ে যারা একটু নামি দামি শিল্পী তাঁরা প্রায় পুরো ছবিতেই কঙ্কাল হয়ে শুয়ে থাকতে চাইলেন না।

এমন সময় হঠাৎ একদিন জহির রায়হান বললেন, রাজু, আপনিই আমার ছবির নায়ক। রাজুর চেহারার সঙ্গে তখন কলকাতার রোমান্টিক ছবির নায়ক বিশ্বজিৎ-এর মিল খুঁজে পেতেন অনেকে। যেই বলা সেই কাজ। রাজু হয়ে গেলেন “বেহুলা” ছবির নায়ক। সুযোগ পেয়ে রীতিমতো জ্বলে উঠলেন তিনি। ক্যামেরার পেছনে থাকা মানুষটার নাম যখন জহির রায়হান, তখন দুর্দান্ত কিছু তো হবেই। সঙ্গে অপূর্ব সুন্দরী বেহুলারূপী সুচন্দা। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেল “বেহুলা”। ছবি সুপারহিট! বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পেল একজন নায়ক, যিনি পরবর্তী সময়ে এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অপরিহার্য নায়কে পরিণত হবেন।

ঢাকার সিনেমা হলগুলোতে তখন পাক-ভারতীয় ছবির দাপট। ভারতের রাজকাপুর, দিলীপ কুমার, নার্গিস, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী, জেবা, সুধির, শামীম আরা, ওয়াহিদ মুরাদ এবং কলকাতার ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, বিশ্বজিৎ, সৌমিত্রদের ছবির সঙ্গে পালা দিয়ে চলতে শুরু করল ঢাকার নির্মাতাদের নির্মিত ছবি। আব্দুল জব্বার খান, রহমান, শবনম, খলিল, ফতেহ লোহানী, খান আতা, সুমিতা দেবী, আনোয়ার হোসেন, সুচন্দাদের সঙ্গে যোগ হলো আরো একটি নাম- “রাজ্জাক”।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এখানে নির্মিত বেশিরভাগ ছবির নায়ক আমাদের এই রাজ্জাক। বুঝতেই পারছেন পাঠক, নায়করাজ রাজ্জাকের কথা হচ্ছে, আমাদের ছোট চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচাইতে বড়ো তারা, সবচাইতে নামী এবং অন্যতম গুণী অভিনয়শিল্পীর কথাই বলছি। দুই ভাই, আবির্ভাব, বাঁশরী, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, যে আগুনে পুড়ি, পায়েল, দর্পচূর্ণ, যোগ বিয়োগ, ছদ্মবেশী, জীবন থেকে নেয়া, মধুর মিলন ইত্যাদি ছবির সাফল্যে রাজ্জাক হয়ে উঠলেন চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়ক।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে পাক-ভারতীয় ছবির প্রদর্শন বন্ধ হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব যাদের উপর বর্তেছিলো, তাঁদের একজন রাজ্জাক। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নায়ক রহমান একটি পা হারালেন, সেই সংকটের মূহুর্তে রাজ্জাক একাই সামাল দিলেন চলচ্চিত্রের রোমান্টিক নায়কের শূন্যতা। অসীম সাহস নিয়ে অভিনয় করতে থাকলেন একের পর এক ছবিতে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুক্তি পায় রাজ্জাক অভিনীত ছবি “মানুষের মন”। সেই সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রে শুরু হলো নায়ক রাজ্জাকের যুগ।

১৯৭৩ সালে মুক্তি পেলো জহিরুল হক পরিচালিত “রংবাজ”। রাজ্জাকের ক্যারিয়ারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট বলা হয় এই ছবিটিকে। বাংলা চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হলো আধুনিক অ্যাকশানধর্মী ছবির। “রংবাজ” চলচ্চিত্র দিয়েই রাজ্জাক তাঁর অভিনয়জীবনে বৈচিত্র নিয়ে এসেছিলেন। রাজ্জাকের নিজের ভাষায়- “রংবাজ ছবির সাফল্যের পর আমার মনে হলো, দর্শকদের একঘেয়েমি থেকে মুক্ত রাখতে হলে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে।

প্রয়োজনে দর্শকদের জন্য নিজের অর্থে ছবি নির্মাণ করতে হবে।” আর তারই ফলাফল বেঈমান, ঝড়ের পাখি, অনির্বান, স্লোগান, এখানে আকাশ নীল, অতিথি, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ত্রিরত্ন- এই ছবিগুলো। আলমগীর, ফারুক এবং সোহেল রানাদের মতো অভিনেতাদের প্রথম দিককার বেশকিছু ছবিতে রাজ্জাক শুধু সিনেমার কাটতি বাড়ানোর জন্য ছোটখাটো চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিলো একটাই; নতুন দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকজন নায়ক তৈরী করা।

অভিনেতা হিসেবে নিজেকে অন্য সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্জাককে তেমন বাড়তি কোনো কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়নি। রাজ্জাক বরাবরই মানুষকে যথাযোগ্য সম্মান আর ভালোবাসা দিয়েছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও নামীদামী প্রযোজক-পরিচালকদের সম্মানে পার্টির আয়োজন করেছেন বছরের পর বছর। রাজ্জাকের স্ত্রী লক্ষী(খায়রুন নিসা) রাত জেগে স্বামীর বন্ধুদের পছন্দ মতো রান্নাবান্না করে খাইয়েছেন। নির্মাতারাই তাঁকে নিয়েছেন- বাদি থেকে বেগম, সমাধি, কি যে করি, সেতু, আগুন- এর মতো জনপ্রিয় ছবির সেরা চরিত্রে।

একটা সময় ছিল, যখন নির্মাতারা মনে করতেন পর্দায় নায়ক মারা গেলে ছবি চলবে না। ঠিক ওই সময়ে “বেঈমান”, “সমাধি” আর “সেতু” ছবির শেষ দৃশ্যে রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করে দর্শকদের কষ্ট দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ছবির সাফল্যও ঠিকই আদায় করে নিয়েছেন। বাংলা ছবির নায়ক মানেই চকচকে শার্ট-প্যান্ট, স্যুট-টাই পরা; এমন ধারণা ভেঙ্গে ঠিক ওই সময় “কি যে করি” ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন ছাপার লুঙ্গি পরে। এখন কোনো সুপারস্টারের কাছে আপনি এটা আশা করতে পারেন?

চরিত্রের প্রয়োজনটা বোঝার ক্ষমতাটাই রাজ্জাককে আজকের নায়করাজে পরিণত করেছে। ১৯৭৭ সালে রাজ্জাক যখন পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, তখন বেছে নিলেন পরিপক্ক প্রেমের গল্পকে। ছবির নাম “অনন্ত প্রেম”। ছবিতে রাজ্জাকের সঙ্গে ববিতা। গল্প, চিত্রায়ন, নির্দেশনা, অভিনয়, গান সব মিলিয়ে “অনন্ত প্রেম”-এর কথা কি সেই সময়ের দর্শকরা আজও ভুলতে পেরেছেন? প্রেমের ছবির মূল কথা হচ্ছে মান-অভিমান, প্রেম, ভালোবাসা এবং শেষে মিল। বরাবরই এরকম ছবি দেখে দর্শক হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরে।

কিন্তু “অনন্ত প্রেম” নায়ক-নায়িকার মৃত্যু দিয়ে শেষ করেও সাফল্য পেয়ে রাজ্জাক প্রমাণ করেছেন পরিচালক হিসেবেও দর্শকদের মন জয় করার ক্ষমতা তিনি রাখেন। তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের “চাপাডাঙ্গার বউ” ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে তিনি অভিনেতা রাজ্জাককে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রে শাবানার বিপরীতে নিয়েছিলেন এটিএম শামসুজ্জামানকে। এখানেই রাজ্জাক পরিচয় দিয়েছেন দারুন মেধা আর অতুলনীয় দূরদৃষ্টির।

১৯৭৮ সালে রাজ্জাক যখন অবিশ্বাস্য জনপ্রিয় এক অভিনেতা। ওই সময় আজিজুর রহমানের “অশিক্ষিত” ছবিতে তিনি হাজির হলেন গ্রামের এক পাহারাদারের চরিত্রে। লুঙ্গি আর চার পকেটওয়ালা শার্ট পরে পুরো ছবিতে রাজ্জাক যা করলেন সেই সময়ের সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা সেগুলো আজও ভুলতে পারেনি।

এর দুই বছর পর একই পরিচালক আজিজুর রহমানের “ছুটির ঘণ্টা” ছবিতে স্কুলের দপ্তরির চরিত্রে এলেন তিনি, সেখানে রাজ্জাকের অসাধারণ অভিনয় কি মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব? ওই সময়ে তার আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা, অবসংবাদিত সাম্রাজ্যের অধিকারী তিনি, সেই অবস্থানে থেকে রাজ্জাক পাহারাদার কিংবা স্কুলের দপ্তরির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সেটা আজকের কোনো জনপ্রিয় নায়কের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

সবচেয়ে বড় কথা, রাজ্জাক খুব ভালো করে জানতেন কখন কী করতে হবে। নিজের পরিচালিত “বদনাম” ছবিতে নায়ক জাফর ইকবালকে দিয়ে সবচেয়ে হিট গান ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’ গাইয়ে ছবির সাফল্যটা আদায় করে নিয়েছিলেন। কোন কাজ কখন কোন সময়ে কাকে দিয়ে করাতে হবে এটা ভালোভাবে জানেন বলেই তিনি দশজনের চাইতে আলাদা। তিনি নায়করাজ। একজন শরণার্থী আবদুর রাজ্জাক থেকে তিনি হয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। হয়েছেন বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রির সর্বকালের সেরা নায়ক; রাজত্ব করেছেন দুই বাংলার ছবিপাড়ায়, দারুণ দাপটের সাথে।

কমলাপুরের দুইরুমের ছাপড়া বাসা থেকে গুলশানের আলিশান বাড়ি, অচেনা একজন থেকে সকলের নয়নের মণি হবার পরেও রাজ্জাক ভুলে যাননি- যাঁদের কারণে তাঁর আজকের এই অবস্থান, সেই দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানাতে। সবসময়ই বলে এসেছেন, “দর্শকদের ছাড়া আমি রাজ্জাক কিছুই নই। আমার খ্যাতি, টাকাপয়সা সবকিছুই তাদের দান”। তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার পরিপূর্ণ প্রায় পাঁচশত ছবির ভাণ্ডারে।

ব্যাক্তিজীবনে পাঁচ সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। স্ত্রী লক্ষীর গলায় মালা পরিয়েছিলেন ১৯৬২ সালে। সুখী দাম্পত্যজীবনের আদর্শও বলা যায় নায়করাজকে। এতো এতো নায়িকার সাথে কাজ করেছেন, কিন্ত কোনদিন এতোটুকু গুজব ছড়াতে দেননি নিজের নামে। পেশাদারিত্ব বোধহয় এটাকেই বলে। অভিনয় দিয়ে দেশের মানুষের মন জয় করেছেন রাজ্জাক, আর নিপুণ হাতে ঘর সামলে রেখেছেন লক্ষী। এতোটুকু আঁচ লাগতে দেননি তিনি স্বামীর কাজে। অচেনা অজানা একজন আবদুর রাজ্জাক থেকে নায়করাজ রাজ্জাক হয়ে ওঠার পেছনে লক্ষীর অবদানটা খুব বেশী, আর সেটা রাজ্জাকও সবসময়ই স্বীকার করেছেন, প্রাপ্ত্য সম্মানটা তিনি স্ত্রীকে দিয়েছেন বরাবরই।

আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করা এই লোকটার জন্মদিন আজ, তেইশে জানুয়ারী। দেশের চলচ্চিত্রকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করা এই মানুষটা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি নায়করাজ, নায়কদের রাজা; পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আদর্শ, আর পূর্ব প্রজন্মের কাছে গর্বের নাম। তাঁর মতো কেউ আগে আসেনি, পরেও আসবে না আর। পরম শ্রদ্ধায় “এগিয়ে চলো” স্মরণ করছে এই কিংবদন্তী অভিনেতাকে। নায়করাজ রাজ্জাক আর তাঁর মহান কীর্তিগুলো চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে বাঙালীর হৃদয়ে। শুভ জন্মদিন রাজ রাজ্জাক…

Comments

comments

সোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্রশনিরবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Development by: webnewsdesign.com