এই মানুষটার কথা আলাদা করে না বললেই নয়। তিনি মাহবুব কবির মিলন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ক্যাডার কর্মকর্তা তিনি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং খাদ্যে ভেজাল রোধ করতে তিনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। প্রতিকূলতা আছে, কিন্তু পথচলা থেমে নেই তার। তিনি এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে কাজ করছেন ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ সংস্থায়।
যেখানেই খাদ্যে ভেজালের খবর সেখানেই তিনি এবং তার টিম কাজ করে। জনবলের অভাব থাকা স্বত্তেও কাজ থেমে ছিল না কখনোই। এতোদিন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করতেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জন্যে খাদ্যে ভেজাল রোধ করার এই লড়াইয়ে আরো দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটকে যুক্ত করা হয়েছে। মাহবুব কবির মিলন জানিয়েছেন আরো দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দুইজন ঢাকায় এবং দুইজন ঢাকার বাইরে বিভাগে কাজ করবেন।
তবে যেহেতু জনবলের স্বল্পতা আছে, তাই খাদ্যে ভেজাল রোধ করার এই লড়াইয়ে এই নিবেদিত প্রাণ মানুষদের সাহায্য করা আমাদেরও দায়িত্ব। তাছাড়া, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এই মুহুর্তে আমাদের জীবনের জন্যেই জরুরি।
আমরা ভেজালের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে এবং শুধু নিজের ভাগ্যকে দোষ দিতে দিতে হয়রান হয়েছি এতোকাল। এখন আমাদের ভাবা উচিত, এভাবেই কি চলবে সব, নাকি নিজের জন্যেই, নিজেদের আগামী প্রজন্মের কথা ভেবেই আমরা একটু সচেতন হব। নিরাপদ খাদ্যের আন্দোলনে নিজেকেও যুক্ত করব..
কাজটা খুব বেশি কঠিন নয়, যখন আপনি জানেন আপনার কথা শোনার জন্যে, আপনার অভিযোগের ভিত্তিকে খাদ্যে ভেজাল মুক্ত করতে একদল মানুষ রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মাহবুব কবির মিলন এবং তার টিমের সততা এবং নিবেদন প্রচণ্ডরকম।
এইতো কদিন আগের কথা। ইমেইলে একজন নারী অভিযোগ জানালেন, লক্ষীবাজারের Sub Station এ খাবার খেয়ে পুরো পরিবার ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত। একজনকে হাসপাতালেও নিতে হয়েছে। মেইলে অভিযোগের ভিত্তিতেই ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে গেল। বাইরে চাকচিক্য অথচ ভেতরে পরিবেশন করা হচ্ছে ভেজাল খাবার।
ব্যবস্থা নেয়া হলো। দশলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রেস্টুরেন্টটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়।
তাহলে, আপনি একবার ভাবুন, আপনার একটা ইমেইলও নিরাপদ খাদ্যের আন্দোলনে অনুসঙ্গ হতে পারে, আপনার নিজের জীবন তো বটেই, অন্য সবার জীবনকেও খানিকটা হলেও নিরাপদ করতে পারে।
তাই, মাহবুব কবির মিলন অনুরোধ জানিয়েছেন, যেখানেই খাদ্যে ভেজাল দেখবেন, সেখান থেকেই অভিযোগ জানান। ইমেইলের মাধ্যমে এই মুহুর্তে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে কেন্দ্র করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
অর্থাৎ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার আওতাভুক্ত যেখানেই আপনার চোখে খাদ্যে ভেজাল চোখে পড়বে, যেখানে আপনাকে ভেজাল খাদ্য পরিবেশন করে প্রতারণা করা হবে, যারাই আপনার সুস্থ জীবনকে অসুস্থ খাদ্য দিয়ে দুর্বিষহ করে তুলবে- তাদের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ জানাবেন।
আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে ভেজালের মাত্রা বুঝে রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ সিলগালা করে দেয়া হবে। মাহবুব কবির মিলন স্পষ্টই বার্তা দিয়েছেন, খাদ্যে ভেজাল করে আর মাফ পাওয়ার সুযোগ নেই। সত্যিই নেই, যদি এবার আমি আপনিও আমাদের জায়গা থেকে একটু নড়েচড়ে বসি।
অভিযোগ জানানোর ইমেইল:
info@bfsa.gov.bd
অথবা,
complain.bfsa@gmail.com
এই উদ্যোগটির কথা শেয়ার করে জানিয়ে দিতে পারেন, আপনি নিজেও শামিল হতে পারেন নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে..
সূত্র: দশ দিগন্ত
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
২০১৭ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। নবধারা নিউজ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Development by: webnewsdesign.com